ঘিয়ের বহু উপকারিতা রয়েছে যা হয়তো আমরা অনেকেই জানি না। শেষ কিছু খাবার যেমন কাচ্চি বিরিয়ানীসহ আরো অন্যান্য খাবার তৈরিতে ঘিয়ের প্রয়োজন হয়। ঘিয়ের কয়েকটি উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করা হলো :
১. বহু প্রাচীন কাল থেকেই ঘি পজিটিভ ফুড হিসেবে পরিচিত। আধুনিক গবেষণাও বলছে ঘি খেলে পজিটিভিটি বাড়ে। কনশাসনেস উন্নত হয়।
২. চোখের নিচের কালি দূর করতে কি-না করেছেন। তাহলে এবার এক ফোঁটা ঘি নিয়ে চোখের চারপাশে ম্যাসেজ করুন। সারারাত রেখে সকালে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৩. প্রত্যেকদিন স্কাল্পে ঘি ম্যাসেজ করলে মাথায় রক্ত চলাচল ভালো হয় এবং চুল বাড়তে সাহায্য করে।
৪. ত্বকের জন্যও দারুণ উপযোগী ঘি। দু`চামচ ঘি হালকা গরম করে ভালো করে তাতে অল্প পানি মেশান। তারপর সেই মিশ্রণ সারা গায়ে এবং মুখে মাখুন। ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
৫. বাটইরিক অ্যাসিড শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৬. ঘিয়ের মধ্যে রয়েছে বাটাইরিক অ্যাসিড। এই অ্যাসিড হজম ক্ষমতা বাড়ায়।
৭. ওজন ও এনার্জি- ঘিয়ের মধ্যে থাকা মিডিয়াম চেন ফ্যাটি অ্যাসিড খুব এনার্জি বাড়ায়। অধিকাংশ অ্যাথলিট দৌড়নোর আগে ঘি খান। এর ফলে ওজনও কমে।
৮. ভিটামিন এ ও ই থাকায় ঘি পুষ্টিগুণে ভরপুর।
ঌ. ঘি সহজে নষ্ট হয় না প্রায় ১০০ বছর পর্যন্ত ঠিক থাকে ঘি।
১০. সুন্দর গন্ধ ও স্বাদ অথচ অধিকাংশ দুগ্ধজাত দ্রব্যের মতো ঘি থেকে অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
১১. ঘি-এর স্ফুটনাঙ্ক খুব বেশি। ২৫০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড পর্যন্ত ঘি গরম করা যায়। অধিকাংশ তেলই এই তাপমাত্রায় গরম করলে ক্ষতিকারক হয়ে যায়।
১২. ঠোঁটের মতো চুলের সৌন্দর্য বাড়াতেও ঘি দারুণ উপকারী। এক চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে ২ চামচ ঘি নিয়ে চুল এবং স্কাল্পে ভালো করে লাগান। ৩০ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।